কোন রকম ভিডিও ছাড়াই ১ লক্ষ সাবস্ক্রাইব অতিক্রম করলো Mizanur Rahman Azhari অফিসিয়াল চ্যানেল
দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। দেশে গত কয়েক বছর ওয়াজ মাহফিল করে অসংখ্য অনুসারী তৈরি করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এই আলেম। তবে সেখান থেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এবার ইউটিউবে ধর্মীয় পরামর্শ দেয়ার লক্ষ্যে চ্যানেল করলেন মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে ইউটিউব চ্যানেলটি ওপেন করার বিষয়টি জানান। স্ট্যাটাসে ইউটিউব চ্যানেলের লিংক সংযুক্ত করে দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,
আলহামদুলিল্লাহ..
অবশেষে “Mizanur Rahman Azhari” নামে আমার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলটি ক্রিয়েট করা হলো। আমার ফেইসবুক পেইজের নামের সাথে হুবহু মিল রেখেই, ইউটিউব চ্যানেলটির নামকরণ করা হয়েছে। সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
ফেসবুক পেজ লিংক:
https://www.facebook.com/mizanurrahmanazhariofficial
চ্যানেলটির লিংক:
https://www.youtube.com/channel/UCxStLx7yb96MGBfIMo20x7Q
এদিকে মিজানুর রহমান আজহারীর ওই স্ট্যাটাসের পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে তার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার। নতুন এই চ্যানেলটিতে কোনো ভিডিও আপলোড না দিলেও মাত্র ২০ ঘন্টায় (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ সেটিতে সাবস্ক্রাইব করেছেন।
এর আগে চ্যালেনটি ওপেন করার আগে তিনি অবশ্য অনুসারীদের থেকে পরামর্শ নিয়েছিলেন। ফেসবুক পোস্টে সে কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
মিজানুর রহমান আজহারী পোস্টে লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ.. অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত আমার গত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী কমেন্টস এসেছে। আমি উল্লেখযোগ্য প্রায় সবগুলো কমেন্টসই পড়ার চেষ্টা করেছি। সুবহান আল্লাহ! আপনাদের চমৎকার ও কন্স্ট্রাক্টিভ পরামর্শগুলো আমায় আবেগাপ্লুত করেছে।
Mizanur Rahman Azhari Detles
Personal
Born Mizanur Rahman
26 January 1990 (age 30)
Demra, Dhaka, Bangladesh[1]
Religion Islam
Nationality Bangladeshi
Spouse (m. 2014-01-29−present)
Children 2
Region Quranic Tafsir
Notable work(s) Tafsir Program, Islamic dawah activities via social media, and Social works such as fund collection and helping to the poor people in Bangladesh at the COVID-19 period.
Education Darunnajat Siddiqia Kamil Madrasah (Dakhil-2004)
Darunnajat Siddiqia Kamil Madrasah (Alim-2006)
Al-Azhar University (Department of Tafsir and Quranic Sciences-2016)
International Islamic University Malaysia Ph.D.[2]
Occupation Host, Islamic scholar and Speaker
জনপ্রিয়তা:
খুব অল্প সময়ে সুললিত কণ্ঠে কুরআন-হাদিসের সহজ-সাবলীল আলোচনা করে অসংখ্য মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার গবেষণাধর্মী আলোচনার কারণে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি বাংলা, আরবি, ইংরেজি ভাষায় খুবই দক্ষ। যে কারণে বিভিন্ন দেশের মানুষ তার আলোচনা বুঝতে পারে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপার্জন:
সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে তার একটি ফেসবুক আইডি ও একটি অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ রয়েছে। ব্যক্তিগত কোনো ইউটিউব চ্যানেল নেই। মাসিক আয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাফসির মাহফিলে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন না। হাদিয়া হিসেবে যা পান তা-ই নিয়ে থাকেন। বছরের বেশিরভাগ সময় মালয়েশিয়ায় থাকেন। সেখানে পিএইচডি করছেন। সময় পেলে তাফসির মাহফিল করেন। এছাড়া বৈশাখী টেলিভিশনে ‘ইসলাম ও সুন্দর জীবন’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠান করেছেন।
Mizanur Rahman Azhari
“মিজানুর রহমান আল আযহারী জীবনবৃত্তান্ত “
মিজানুর রহমান আযহারী নামে অধিক পরিচিত। তিনি একজন সুবক্তা,গবেষক ইসলাম প্রচারক, পণ্ডিত এবং আলমে-এ-দীন(দ্বায়ী ইলাল্লাহ)। তিনি, ঢাকার অধিবাসী হলেও বেশিরভাগ সময় মালেয়শিয়াতে গবেষনার কাজে ব্যাস্ত থাকেন ।তিনি জাতীয় মুফাসসির পরিষদ সংগঠনের সদস্য এডিশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্তা হিসাবে স্থান পেয়েছেন। পরিচয় মিজানুর রহমান আল আযহারী। তিনি মিজানুর রহমান আযহারী নামে অধিক পরিচিত। তিনি একজন সুবক্তা,গবেষক ইসলাম প্রচারক, পণ্ডিত এবং আলমে-এ-দীন(দ্বায়ী ইলাল্লাহ)। তিনি, ঢাকার অধিবাসী হলেও বেশিরভাগ সময় মালেয়শিয়াতে গবেষনার কাজে ব্যাস্ত থাকেন । তিনি জাতীয় মুফাসসির পরিষদ সংগঠনের সদস্য এডিশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্তা হিসাবে স্থান পেয়েছেন। শিক্ষা এবং পেশা মিজানুর রহমান আজহারী ২০০৪ সালে দাখিল (SSC) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম (HSC) পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের টপ মেরিট লিস্টে জায়গা করে নেন। ২০০৭ সালে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিশর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় তিনি হাজার হাজার কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে বরাবরের মত ১ম স্থান অধিকার করে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিশরে গমন করেন। সেখান থেকে তিনি Department of Tafseer & Quranic Science হতে ২০১২ সালে ৮০% সিজিপিএ নিয়ে অনার্স(Honours)উত্তীর্ণ হন। মিশরে ৫ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর তিনি গার্ডেন অফ নলেজ খ্যাত মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্টগ্রাজুয়েশন ও এমফিল এবং পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৩ সালে তিনি মালয়েশিয়া গমন করেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের Department of Quran and Sunnah Studies থেকে তিনি ২০১৬ সালের মধ্যে পোস্টগ্রাজুয়েশন এবং এমফিল শেষ করেন। মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিল 3.82 out of 4.এম ফিলে তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল “Human Embryology in the Holy Quran: A comparative Analysis between Tantawi Jawhari & Zagloul Najjar’s interpretation. তারপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ক্যান্ডিডেট হিসেবে মনোনিত হন। “Human Behavioural Characteristics in the Holy Quran: An Analytical Study” বিষয়ের উপর তিনি বর্তমানে পিএইচডি গবেষণা করছেন। উল্লেখ্য তার এমফিল এবং পিএইচডির গবেষণার মাধ্যম ছিল ইংরেজি। এছাড়া ও IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Ovarall 7.5 out of 9 ব্যান্ড স্কোর এবং স্পিকিং সেকশনে ও 7.5 ব্যান্ড স্কোর অর্জন করেন। ইসলামি প্রচারনা মিজানুর রহমান আজহারী সাহেব পৃথীবির আনেক দেশে প্রমান ভিত্তীক ইসলাম এর কাজ করে যাচ্ছেন এবং উনার ইসালামের দাওয়াত এর দ্বারা অনেক বড় বড় লোক কে ঈমান ও আমলের এর দিকে ধাবীত হয়েছে;
তিনি মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন
আজহারী মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
গত ২৯ জানুয়ারি তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে আজহারী লেখেন, ‘পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এবছরের তাফসির প্রোগামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হল। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।’
এরপর থেকে তিনি আর কোন ওয়াজ মাহফিলে যাননি।
বিসিসি বাংলা জানিয়েছে, আজহারী ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। তবে এ খবর তার দিক থেকে নিশ্চিত করা যায়নি।
বাংলাদেশে ধর্মীয় বক্তাদের একটি সমিতি রয়েছে। ওই সমিতির কয়েকজন নেতা এবং আজহারীর ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আজহারী মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। এর পর তাদের কারো সঙ্গে আজহারীর যোগাযোগ হয়নি।
কুমিল্লায় আজহারীর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, ৩০ জানুয়ারির পর থেকে আজহারীর সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তারা ধারণা করছেন, আজহারী মালয়েশিয়া চলে গেছেন।
তবে আজহারীর সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
কিন্তু সেই কারণগুলো কী তা উল্লেখ করেননি তিনি। শুধু এটুকুই বলেছেন, রিসার্চ বা গবেষণার কাজে তিনি মালয়েশিয়া যাচ্ছেন এবং মার্চ মাস পর্যন্ত তার মাহফিল করা বন্ধ থাকবে।
আজহারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, সবশেষ দুটি সাক্ষাতের সময় আজহারী তার কাছে মাহফিল করতে বিভিন্ন জায়গায় বাধার সম্মুখীন হওয়ার কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাস ধরেই আজহারীকে নিয়ে আলোচনা চলছিল। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জয়পুরহাটে তার এক মাহফিলে ধর্মান্তরের একটি ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়।
এ বছর জানুয়ারি মাসে লক্ষ্মীপুরে তারই এক মাহফিলে ১২ জন ভারতীয় নাগরিকে ধর্মান্তরের এক ঘটনাও আলোচনার সৃষ্টি করে।
গত ২৪ জানুয়ারি লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া গ্রামে আজহারীর মাহফিলে একই পরিবারের মোট ১২ জন সদস্য এক সঙ্গে
ইসলাম গ্রহণ করেন। আলোচিত এই হিন্দু পরিবারটি এসেছিল ভারত থেকে। বাংলাদেশের পুলিশ ১২ জনকেই আটক করে, এবং তাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।